ফিশিং কি এবং ফিশিং থেকে নিরাপদ থাকবেন যেভাবে

ফিশিং কি! আসলে আমরা যারা এই শব্দটির সাথে পরিচিত না তারা হয়তো একটু আবাক হচ্ছেন।আবার অনেকে হয়তো ভেবে নিয়েছেন আমার আজকের আর্টিকেলটি হয়তো মাছ ধরা নিয়ে।এরকম ভাবাটাই স্বাভাবিক।কারন সবাই সব বিষয়ে জানবে এমন তো কথা নেই!
জানা নেই তাতে কি? জানতে কতটাই বা সময় লাগবে!
তাহলে আসুন বকবক না করে জেনে নেই ফিশিং কি,কেন এটি করা হয় এবং এর থেকে নিরাপদ থাকবেন কিভাবে।
তাহলে আমরা প্রথমে জানবো ফিশিং কি?(what is phishing)🔁ফিশিং হচ্ছে অনলাইন জগতে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে আপনার থেকে বিভিন্ন তথ্যা হাতিয়ে নেওয়া।যেমন,ইমেইলের পাসওয়ার্ড,ক্রেডিট কার্ডের নম্বর,ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড এছাড়াও বিভিন্ন তথ্য।
তাহলে এখানে তো কোন মাছ ধরার কোন ব্যাপার নেই!এটাতো সম্পুর্ন ইন্টারনেট জনিত।তাহলে এর নাম ফিশিং হলো কেন!
এর নাম ফিসিং হওয়ার মূল কারন হলো,
 মাছ ধরার সময় আমরা টোপ ব্যাবহার করি।মাছ টোপটাকে খাবার মনে করে লোভে পড়ে।কিন্তু টোপের ভিতরে থাকে বড়শি।এবং মাছটি যখন লোভের বশিভূত হয়ে টোপটি গিলে ফেলে ঠিক তখনি শুরু হয় আসল খেলা!মাছটির তখন জীবন সংকট দেখা দেয়!কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত মাছটির কিছুই আর করার থাকে না।কারন বড়শি ইতিমধ্যে তার মাংস পেশির সাথে গেথে আটকে বসেছে।এবং সে যতই টানাটানি করবে ততই তার বিপদ বাড়বে ছাড়া কমবে না।
আর অনলাইলে ফিশিং অনুরুপ মাছ ধরার মত।এটি হ্যাকিংয়ের অন্যতম একটি উপাদান। হ্যাকার আপনার বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য আপনাকে টোপ দেবে।আর আপনি টোপ গিললেই সে তার খেলা শুরু করে দিবে।আর যখন বুজবেন আপনি ফিশিংয়ের শিকার তখন আপনার আর কিছুই করার থাকবে না।

ফিশিং করা হয় মুলত বিভিন্ন উপায়ে এর মধ্যে কয়েকটি তুলে ধরলাম।কারন আপনি আমার একজন প্রিয় পাঠক আপনি বিপদে পড়ুন এটা আমি চাই না।
⏩বিভিন্ন লিংক শেয়ারের মাধ্যমে।অনেক সময় হ্যাকাররা বিভিন্ন স্পাম লিংক শেয়ার করে।সেটি একটি আসল লিংকের ন্যায় থাকে।কিন্তু ভাল করে খেয়াল করলে বোঝা যাবে এটি একটা ফিশিং লিংক বা স্পাম  উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যেমন আপনাকে একটি ফেসবুকের লিংক শেয়ার করলো। যেটা আপনার ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট লগ ইন করতে বলা হবে। আপনি সরল মনে লগিন করলেন।
কারন দুদক কর্মকর্তা বলেছেন,
সরল মনে দুর্নীতি করলে তা অন্যায় হবে না।
অনুরুপ ভাবে,সরল মনে ভুল করলে আপনার সেটি ভুল বলে বিবেচিত হবে না।
 কিন্তু এখানে আর দুদক কর্মকর্তা থাকবে না। আপনার ফেসবুক আইডির ইমেইল পাসওয়ার্ড সরাসরি চলে যাবে হ্যাকারের হাতে। আর আপনার ফেসবুকের সকল তথ্য তার হাতে। একই ভাবে আপনাকে বিভিন্ন মেইল করতে পারে। যেমন আপনি লটারি জিতেছেন টাকা তোলার প্রসেস জানতে ক্লিক করুন। একটা লিংক দেওয়া থাকবে।আপনি লিংকে গেলেন গিয়ে টাকার বদলে পেলেন একটা বাশ।
তাহলে বন্ধুরা আসুন জেনে নেই ফিশিংয়ের হাত থেকে বাচার উপায় -
⏩ফেসবুকের ইনবক্সে কেউ কোন লিংক পাঠালে হুট করেই সেটিতে প্রবেশ করবো না।
⏩লিংকটিতে প্রবেশ করতে হলে আগে ভালভাবে যাচাই করে নিতে হবে কোন সমস্যা আছে কিনা।
⏩মুল লিংকের সাথে ইনবক্সের পাওয়া লিংকে মিল আছে কি না।যেমন মুল লিংক  Facebook.com কিন্তু লিংকটিতে আছে facabook.com ইত্যাদি যা সহজে ধরতে পারবেন না।আবার খেয়াল করলে খুবই সহজ।
⏩যদি আপনি প্রবেশ করেই ফেলেন তাহলে এক মুহুর্ত দেরি না করে পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন।যদি দেখেন হ্যাকার তার কাজ করে ফেলেছে।তাহলে অন্যান্য একাউন্টের পাসওয়ার্ড একই থাকলে দ্রুত পরিবর্তন করুন।
⏩ব্যাংক একাউন্টের ক্ষেত্রে এমন হলে ব্যাংকে দ্রুত যোগাযোগ করুন।এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করুন।
⏩ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক হোন।অপরিচিত সাইটে ঢোকার আগে যাচাই করে নিন সাইটটি সেইফ কি না।
সর্বোপরি আপনার সতর্কতাই পারে আপনাকে ফিসিং এর হাত থেকে রক্ষা করতে। তাই নিজে সতর্ক হোন এবং এসকল বিষয়ে অন্যকে সতর্ক করুন।
Next Post Previous Post
1 Comments
  • trickbd
    trickbd ১ আগস্ট, ২০১৯ এ ৪:৩৭ PM

    পোস্টটি অনেক তথ্যবহুল।এরকম আরো তথ্য বহুল পোস্ট চাই!

Add Comment
comment url