জল পানের ১০ টি সঠিক নিয়ম

পানি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। একারনে দৈনিক একটি মানুষকে অন্ততপক্ষে ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিত। তবে অনেকেই জল পানের নিয়ম সম্পর্কে জানে না। তাই তারা ভূল নিয়মে জল পান করে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছেন। তাই আমাদের পানি বা জল পানের প্রয়োজনীয়তা জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। একই সাথে সঠিক নিয়ম গুলো জানাও জরুরি। শুধুমাত্র পানি পান করলে যে উপকারিতা পাওয়া যায় তা কিন্তু নয়। পানি পানের জন্য রয়েছে সঠিক কিছু নিয়ম কানুন। আসুন তাহলে জেনে নেই পানি পানের কয়েকটি সঠিক নিয়ম।
কথায় আছে পানির অপর নাম জীবন। কারণ পানি ছাড়া জীব বাঁচতে পারে না। কোন রকম খাদ্য ছাড়া জীব কয়েক দিন বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু পানি ছাড়া কোনভাবেই বেঁচে থাকা সম্ভব নয় সেটি আমরা সকলেই জানি। তাই আমাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন পানি পান করতে হয়। জল পানের প্রয়োজন যে শুধুমাত্র জীবন ধারণ করতে তা কিন্তু নয় জল পানের ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ জীবাণু,রক্তের দূষিত পদার্থ দূর হওয়া ছাড়াও দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কে সচল রাখতে সাহায্য করে। পানি পানের রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন সেগুলো মেনে পানি পান না করলে শরীরের উপকারিতার চেয়ে ক্ষতিকর দিকটি বেশি হবে।

জল পানের সঠিক নিয়ম গুলো হলো-
১-আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা একবারে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেন। যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। একবারে অধিক পরিমাণে  পানি পানের ফলে আমাদের শরীরের ভিতর হঠাৎ করে চাপের সৃষ্টি হয়। যার ফলে আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতিসাধন হতে পারে। তাই আমাদের সকলের উচিত অল্প অল্প করে বার বার পানি পান করা।

২- কখনোই দাঁড়িয়ে পানি পান করা উচিত নয়। কারণ দাঁড়িয়ে পানি পান করলে আমাদের শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে আমাদের জয়েন্টে পানি জমে আর্থাইটিস রোগের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েক গুন। তাই আমাদের উচিত সবসময় বসে তারপর পানি পান করা।

৩-ঘুম থেকে উঠে পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ ঘুম থেকে উঠে পানি পান করলে আমাদের শরীরের রোগ জীবাণু  গুলো বের হয়ে যায়। এবং অধিকাংশ রোগ হতে মুক্ত থাকা যায়।

৪- খাওয়ার কতক্ষন পর পানি খাওয়া উচিত এটি আমাদের সকলেরই জানা উচিত খাদ্য গ্রহণের অন্তত এক থেকে দুই ঘন্টা পরে পানি পান করা উচিত। তা না হলে আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

৫-আমাদের শরীরে পানির পরিমাণ কমতে থাকলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে থাকে যেমন প্রস্রাব হলুদ হয়ে যাওয়া। গলা শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি সোহেল লক্ষণ দেখা দিলে অতি শিঘ্রই পানি পান করতে হবে।


৬-ভারী খাবার গ্রহণের পূর্বে পানি পান করুন। কিন্তু খাদ্য গ্রহণের পরে কখনোই পানি পান করবেন না। কারণ এতে আপনার হজম প্রক্রিয়া ব্যহত করবে এবং শরীরের নানান সমস্যার সম্মুখীন হবে।

৭-পানি স্বল্পতার কারণে প্রস্রাব হলুদ হলে বারবার পানি পান করুন বেশি পরিমাণে।কিন্তু প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়ে গেলে হবে না অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করবেন না।
৮-ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম  করার সাথে সাথে কখনো পানি পান করবেন না।কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর পানি পান করুন।

৯-পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে ভাইরাসজনিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত।

১০-ঘুম থেকে উঠার অবশ্যই কমপক্ষে এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করতে হবে।এর অভ্যাস না থাকলে অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।এবং উপকারিতা আপনি নিজেই টের পাবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url