স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইন থেকে আয়ের সেরা ৪ টি উপায়

অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের অনেক উপায় আছে। কতগুলো উপায় হচ্ছে প্রফেশনাল আবার কতগুলো উপায় হচ্ছে non-professional. প্রফেশনাল ভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কোন কাজের উপর দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। তারপরে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনি চাইলে স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইন থেকে কিছু পরিমান অর্থ উপার্জন করে আপনার জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। বা হাত খরচের টাকা যোগাড় করতে পারেন। প্রফেশনাল দক্ষতা ছাড়াই অনলাইন থেকে যেভাবে টাকা আয় করবেন তা  আমি আপনাদের কয়েকটি উদাহরণ দেবো।স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইন থেকে আয় এর সেরা চারটি উপায়।এবং যার মাধ্যমে কাজ করে আপনি আপনার হাত  খরচের টাকা তুলতে পারবেন। স্টুডেন্ট অবস্থায় আমরা অনেকেই আছি যারা মেসে   থাকি। তাদের মেস খরচ দিয়ে তারপরে হাত খরচের টাকার যোগান দেওয়া অনেকেরই পরিবারের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনা।তবে বাইরে চলতে গেলে টাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। হোক কম বা বেশি। তাই আমি আজ আপনাদের মধ্যে কয়েকটি উপায় শেয়ার করব যেগুলোর মাধ্যমে তারা তাদের হাত খরচের টাকার যোগান দিতে পারবেন।
How to make money online 

 চলুন স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় হাত খরচের টাকা যোগাড় করার ৪ টি উপায় দেখিয়ে দেই-

 পিটিসি সাইট বা অ্যাপ-
Earn money from PTC site 
প্রফেশনাল দক্ষতা ছাড়া আয়ের এর অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে পিটিসি সাইট বা অ্যাপ। অনেক পিটিসি সাইট আছে যেগুলোতে ইনভেস্ট করে আয় করতে হয়। আমি আপনাদের পরামর্শ দেবো কখনোই ইনভেস্ট করে আয় করার চিন্তা করবেন না। কারণ পিটিসি সাইটের কাজ হচ্ছে আপনার অ্যাড ক্লিক এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। সুতরাং আপনি স্বাভাবিকভাবে ভাবুন এখানে ইনভেস্ট করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে? না ইনভেস্ট করার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। এখানে আপনি ইনভেস্ট করলে লাভবান হতে পারবেন কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে লোকসানের পরিমাণে বেশি হয়ে থাকবে।এ সকল সাইট আপনাকে বিভিন্ন শর্ত দেবে। যেমন আপনার একাউন্টে তিনজন অ্যাক্টিভ রেফারাল থাকতে হবে। এর মানে হলো আপনাকে আপনার রেফারেল লিংকের মাধ্যমে তিন জনকে জয়েন করাতে হবে এবং তাদের তিনজনকে দিয়ে ইনভেষ্ট করাতে হবে। আবার তারা যখন আয় করবে তাদের লিংক থেকে তিনজন করে রেফার করা লাগবে। তাহলে  ধরুন আপনি 1000 টাকা ইনভেস্ট করে কাজ শুরু করলেন। পেমেন্ট পেতে আপনাকে তিনজন একটিভ রেফার লাগবে অর্থাৎ তাদের প্রত্যেক জনের 1 হাজার টাকা করে ইনভেস্ট করা লাগবে। এর অর্থ হল আপনার 1 হাজার টাকা ইনভেস্ট করে আয়  করে তা পকেট নিতে হলে বা আপনাকে প্রথম পেমেন্ট নিতে হলে তাদের পকেটে যাচ্ছে 4000 টাকা। এতে মাত্র আপনি একাই পেমেন্ট পাবেন তারা তিনজন পাবে না কারণ তাদের এখন পর্যন্ত তিনজন করে একটিভ রেফারেল হয়নি। তাদের তিনজনকে পেমেন্ট নিতে হলে আরও ৩*৩=৯ হাজার টাকা  ইনভেস্ট করতে হবে। তাহলে হিসাব করুন  আপনি এবং আপনার তিন জন রেফারেল কে পেমেন্ট পেতে হলে ১৩ হাজার টাকা  ইনভেস্ট করতে হবে। এরপরে  তারা কতদিন পর্যন্ত পেমেন্ট দেবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আপনি যদি ইনভেস্ট করে ইনকাম করতে চান তাহলে এই পথ হবে আপনার জন্য জুয়ার মত। তাই অবশ্যই  পিটিসি সাইটে ইনভেস্ট করে আয় করার চিন্তা করবেন না। এতে আপনি লাভবান হলেও অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেক ফ্রি সাইট আছে যারা পেমেন্ট করে।এবং অনেক অ্যাপ আছে যারা পেমেন্ট করে সে সকল সাইটে আপনি কাজ করতে পারেন। এতে আয় কম হলেও কোন প্রকার ঝুঁকি থাকবে না।

 আপনি আইসিও বা এয়ার্ড্রপ এর কাজ করতে পারেন-
earn money from i c o airdrop 
এয়ারড্রপ এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কাজ করা। যখন নতুন কোন পয়েন্ট মারতে আসে তখন তারা বিভিন্ন পরিমাণ কয়েন দিয়ে থাকে। যা সম্পূর্ণ ফ্রি এর জন্য আপনাকে কোন পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে না। পরবর্তীতে যখন এক্সচেঞ্জ আসে তখন আপনি এটি এক্সচেঞ্জ করে টাকা বিকাশে নিতে পারবেন। এয়ারড্রপ থেকে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারেন। অনেক অনেক মানুষ আছে মাসে 30 থেকে 40 হাজার টাকা ইনকাম করে এই গ্রুপ থেকে। এয়ার্ড্রপ এ কাজ হলো  তাদের আইসিও প্রোগ্রাম এ জয়েন করা এবং আপনার রেফারেল লিংকের মাধ্যমে অন্যদের জয়েন করানো। যখন আইসিও শেষ হবে তারা আপনাকে কয়েন দিবে। এবং এক্সচেঞ্জ  চালু হলে আপনি সেটি এক্সচেঞ্জ করতে পারবেন।

 ব্লগিং করতে পারেন-
earn money from blogging 
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি পেশা হচ্ছে ব্লগিং ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনার জ্ঞানের পরিধি যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি আয়েরো একটি উৎস হিসেবে কাজ করে এটি। তবে ব্লগিং করলে ধৈর্য ধরতে হয় কারণ প্রথম দিক থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন না। ভালো পরিমান ইনকাম করতে হলে   ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। আপনি গুগল এডসেন্স ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এড নেটওয়ার্ক বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়া আরো অনেক উপায় আছে ব্লগ থেকে ইনকাম করার। যদি আপনি ব্লগিং করতে চান তাহলে এসব বিষয় গুগলে সার্চ করুন হাজার হাজার আর্টিকেল পাবেন। সেগুলো দেখে সিদ্ধান্ত নেন আপনি ব্লগিং করবেন কিনা। তামিল্যগী করার জন্য আলাদা তেমন কোন স্কিল থাকা প্রয়োজন পড়ে না। মোটামুটি লেখালেখির দক্ষতা থাকলে এবং  মানসিকতা থাকলে আপনি সফল হতে পারবেন। ব্লগের জন্য অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম  হচ্ছে গুগলের blogger.com  এখানে গুগল আপনাকে ফ্রিতে একটি ব্লগ সাইট তৈরীর সুবিধা প্রদান করবে। চাইলে আপনি আপনার ব্লগারের জন্য আলাদা ডোমেইন না খেলেও ব্লগিং শুরু করতে পারেনি কারণ বর্তমানে গুগল তাদের ব্লগারের ফ্রি সাব ডোমেইনে  এডসেন্স প্রদান করে থাকে।

 আর্টিকেল রাইটিং-
earn money from article writing 
আপনার যদি আর্টিকেল লেখার অভিজ্ঞতা থাকে এবং আপনি যদি নিজস্ব ব্লক করতে না চান আপনি চাইলে অন্যান্য ব্লগে ও লেখালেখি করে উপার্জন করতে পারেন। আপনি যদি ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে আপনি ভালো করে মানে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়া বাংলা টিকলি লিখতে পারেন মোটামুটি ভালো পরিমাণ উপার্জন করা সম্ভব। বিভিন্ন ফোরাম সাইট রয়েছে যেখানে পোস্ট করলে তারা অর্থ প্রদান করে। আপনি তাদের ফোরামে পোস্ট করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

উপরোক্ত চারটি উপায় অবলম্বন করলে নিশ্চিন্তে আপনি স্টুডেন্ট অবস্থায় হাত খরচের টাকা চালিয়ে নিতে পারবেন। 
Next Post Previous Post