শীতে ত্বকের সম্পুর্ন যত্ন নেব কিভাবে জেনে নেই

চলে এলো শীত তাই জানতে হবে শীতে ত্বক ভালো রাখার উপায়।প্রকৃতি যেন নতুন রুপ ধারন করতে চলেছে।কাঠ ফাটা রোদ আর অসহ্য গরম কে আমরা এখনই ভুলে যেতে চলছি।কিছুদিন আগেও ভাবতাম এই অসহ্য যন্ত্রনা কবে দুর হবে।কবে আমরা একটু গরমের যন্ত্রনা থেকে স্বস্তি পাবো।তবে গরমের যন্ত্রনার কারনে আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম যে,গরম গেলেই তো আবার আমরা হাড় কাপানো শীতের প্রকোপে পড়তে যাচ্ছি!
এসময়ে ত্বকের হাল হবে খারাপ তাই শীতে কিভাবে ত্বকের যত্ন নিবেন তা জানা অত্যন্ত জরুরি।
তবে গরমে আমার আমাদের কস্ট হয় ঠিকই কিন্তু শীতের তুলনায় আমাদের ত্বক ভাল থাকে গরমে।তাই গরমে আলাদা যত্ন না নিলেও ত্বক মোটামুটি ভালই থাকে।কিন্তু শীত কালে ত্বকের প্রচুর যত্ন নেওয়া স্বত্বেও ত্বক ভালো রাখা কস্টকর হয়ে দাড়ায়।এই শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়া আমাদের অত্যান্ত জরুরি।তবে শীতের সময় ত্বকের যত্ন একটু যত্নশীল হলে ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখা সম্ভব।


আসুন শীতে ত্বক সুস্থ রাখার উপায় জেনে নেই-
শীত আসছে আর এখনই আমাদের ত্বক রুক্ষ শুষ্ক আর নির্জিব হয়ে যাওয়া শুরু করেছে।শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে এ সমস্যাও বাড়তে শুরু করবে।শীতে ত্বক ফাটা একটি কমন সমস্যা।তাই এখনই ত্বকের যত্ন শুরু করে দেওয়া উচিত।কারন ত্বক একবার খারাপ হলে তা ঠিক করতে অনেক সময় লেগে যায় কিন্তু শীতে কোমল ত্বক কে না চায় বলুন।আর এ কারনেই এখনই ত্বক ভালো রাখতে বডি লোশন ইত্যাদি ব্যাবহার করা উচিত।শীতকালে ত্বকের ক্রিম অনেক ক্রিম পাওয়া যায় এগুলো ও ব্যাবহার করতে পারেন।এতে ত্বকে আদ্রতা হারাবে না আর ত্বক থাকে সুস্থ সবল।শীতকালে শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যার করার জন্য লোশন এবং ক্রিমে পাশাপাশি গ্লিসারিন এবং এ্যালোভেরা ব্যাবহার করতে পারেন।

শীত কালে ত্বক নষ্ট হওয়ার প্রধান কারন হলো ত্বকের আদ্রতা হারানো।আর এ কারনে  শীত কালে প্রচুর পরিমানে পানি পান করা উচিত।আমাদের ত্বক থেকে সবসময়ই লোমকূপের মাধ্যমে পানি বেরিয়ে যায়।আর গরম কালে বায়ুতে জলীয় অংশ বেশি থাকার কারনে আমাদের ত্বকেই জমতে শুরু করে।আর আমাদের ত্বকে তা ঘাম হয়ে জমা হয়।কিন্তু শীত কালে তা হয়না বলে আমরা ভেবে থাকি শীতে ত্বক ঘামায় না।কিন্তু গরম কালের তুলনায় যেহেতু শীতে আমাদের শরীর থেকে বেশি জল বেরিয়ে যায় তাই বেশি পরিমান পানি পান করা উচিত।শীত কালে ত্বকের যত্নে পানি পানের ভুমিকা অপরিসিম।
ঠোঁট আমাদের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ন অংগ। শীতকালে মুখের ত্বকের যত্নের পাশাপাশি ঠোঁটের ও যত্ন নিতে হবে কারন ঠান্ডার প্রকোপ থেকে আমাদের ঠোটও রক্ষা পায় না।তাই শীতে ঠোট ফাটার সমস্যা ৯৫% লোকের মাঝেই দেখা যায়।শীত কালে ঠোট শুকিয়ে যায় তাই অনেকে বার বার জ্বিব্বা দ্বারা ঠোট ভিজিয়ে রাখে যা ঠোটের জন্য ক্ষতির কারন।শীতে ঠোট ফেটে যায় এবং ফাটা থেকে রক্তপাত হয়।তখন এটি যেমন একদিক থেকে কস্টকর তেমনি দেখতেও খারাপ লাগে।
তাই নিয়মিত ঠোটে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যাবহার করা উচিত।এবং অন্তত দিনে চার-পাঁচ বার এটি ব্যাবহার করা যেতে পারে নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই।এর জন্য সবসময় সাথেই পেট্রলিয়াম জেলি রাখা যেতে পারে।ঠোঁট ফাটার অন্যতম আরেকটি কারন হলো ভিটামিন সি এর অভাব।তাই শীতে বেশি পরিমান ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে।
কনুই এবং পায়ের গোড়ালির যত্নে কোন ভাবেই অবহেলা করা যাবে না।শীত কালে প্রায় প্রতিটি মানুষের পা ফাটার সমস্যা দেখা যায়।তাই পায়ের  গোড়ালির জন্য চাই এক্সট্রা কেয়ার।পা ফাটলে প্রচন্ড যন্ত্রনার  সম্মুখিন হতে হয় এর জন্য প্রতিদিন পায়ের যত্ন নিন।পা ফাটলে অনেকের রক্ত পরে।এবং হাটতে অসুবিধা ছাড়াও প্রচন্ড যন্ত্রনা হয়।তাই প্রতিদিন স্নানের আগে পায়ের গোড়ালি ভালো মত পরিষ্কার করুন।এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভেসলিন ব্যাবহার করুন।

এছাড়াও প্রতিদিন গোসল করতে হবে এবং শরীর পরিষ্কার রাখতে হবে।এবং বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল করা যাবে না।

সর্বোপরি ত্বকের যত্নে কোন আপোস করা যাবে না।যদি সুস্থ সুন্দর ত্বক চান তাহলে!শীতে সুন্দর ত্বক চাইলে এসকল বিষয় মনে রাখতে হবে।শীতে সতেজ ত্বক চাইলে কষ্ট তো একটু করতেই হবে।
Next Post Previous Post
7 Comments
  • Unknown
    Unknown ৯ নভেম্বর, ২০১৯ এ ৮:২৯ PM

    শীত এলেই আমার ঠোট এবং পা ফাটে।আশাকরি এর থেকে সমাধান পাবো এই টিপ্স ফলে করে!ধন্যবাদ (k)

    • তিমন দে
      তিমন দে ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ এ ৪:৩০ PM

      আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্টটি পরার জন্য!

  • Unknown
    Unknown ১৩ নভেম্বর, ২০১৯ এ ১০:১৫ AM

    শীতের কথা চিন্তা করে শীত আসার আগেই এত সুন্দর একটি টিপ্স শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ!

    • তিমন দে
      তিমন দে ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ এ ৪:৩০ PM

      আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্টটি পরার জন্য!

  • uttam
    uttam ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ এ ১১:২২ AM

    (K)

    • তিমন দে
      তিমন দে ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ এ ২:৪৫ PM

  • Unknown
    Unknown ৩০ জানুয়ারী, ২০২০ এ ৮:৫০ AM

    অসাধারণএকটা টিপস

Add Comment
comment url