ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট কি? ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

কতগুলো তথ্য (Data) বা উপাত্তকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখাকেই মূলত ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বলা হয়। চলুন জেনে নেওয়ার যাক- ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট কি? (What Is Database Management)  ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Database Management System) এবং এর সংগঠন বিস্তারিত আলোচনা।
ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট

ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট (Database Management)

আমরা যেকোনাে কাজ করি না কেন তা শৃঙ্খলার সাথে না করলে কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হয় এবং তা সুন্দর ভাবে সমাপ্ত করা যায় না। বিপুল পরিমাণ ডেটা নিয়ে কাজ করলে অবশ্যই তা শৃঙ্খলার সাথে গুছিয়ে রাখা প্রয়ােজন। তা না হলে প্রয়ােজনের সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডেটা খুঁজে পাওয়া যায় না। ডেটাবেসে যেহেতু বিপুল পরিমাণ ডেটা জমা থাকে সেহেতু এসব ডেটার সঠিক ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য ডেটাবেস ব্যবস্থাপনা প্রয়ােজন। ব্যবহারকারী সতর্কতার সাথেও নিয়ন্ত্রিতভাবে কাজ না করলে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। এ জন্য প্রয়ােজন ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রণ করা।ডেটাবেস ব্যবস্থাপনা ছাড়া ডেটার সঠিক ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ সহজে করা যায় না। সুতরাং ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট বা ডেটাবেস ব্যবস্থাপনা বলতে ডেটা সংগ্রহ, ডেটাবেস তৈরি, সংরক্ষণ, বিন্যাস, দ্রুত উপস্থাপন, ডেটার আধুনিকীকরণ, ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কাজকে বােঝায়।


ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Database Management System- DBMS)

একটি সিস্টেম এককভাবে গড়ে ওঠে না। কত গুলাে বিষয়ের সমন্বিত রূপকে সিস্টেম বলা হয়। তেমনি কতগুলাে কম্পিউটার প্রােগ্রামের সমন্বয়ে ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গঠিত হয়। অর্থাৎ ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হলাে একগুচ্ছ প্রােগ্রামের সমষ্টি যা একজন ব্যবহারকারীকে কোনাে তথ্য সংরক্ষণ, পরিবর্তন এবং উত্তোলন করতে সমর্থ করে। বিভিন্ন ধরনের DBMS রয়েছে যা ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে শুরু করে মেইনফ্রেম কম্পিউটারেও চালানাে হয়ে থাকে। এক কথায় বলা যায়, ডেটা প্রসেসিং, ইনসার্টিং, এডিটিং ইত্যাদি কাজকে একত্রে ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বলে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন রকম ডেটা এন্ট্রি করে কম্পিউটারের মেমােরিতে রাখা যায় এবং বিভিন্নভাবে প্রসেসিং করা যায়। ডেটাবেস সফটওয়্যারের সাহায্যে কোনাে প্রতিষ্ঠানের ডেটাকে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট পদ্ধতিতে বিভিন্ন ফিল্ড তৈরি করে ডেটা এন্ট্রি ও ডেটা সংরক্ষণ করা যায় এবং এন্ট্রি করা অসংখ্য ডেটাকে বিভিন্নভাবে সাজানাে যায়, বাছাই করা যায়, কোনাে নির্দিষ্ট ডেটাকে দ্রুত খুঁজে বের করা যায়, বিভিন্নভাবে রিপাের্ট তৈরি করা যায় এবং প্রয়ােজনীয় আরও অনেক কাজ করা যায়।

কোনাে কোনাে ডেটাবেস সফটওয়্যার বা প্যাকেজে একটি বাড়তি সুবিধা থাকে। এই সুবিধা হলাে প্যাকেজের নিজস্ব কম্পিউটার প্রােগ্রাম লেখার ভাষা। ডেটাবেস প্যাকেজের নিজস্ব ভাষায় প্রােগ্রাম লিখে ব্যবহারকারী বিভিন্ন জটিল। প্রক্রিয়াকরণের কাজ সহজে করতে পারেন। যেমন : Microsoft Access, Oracle, dBase, Condor, Foxbase, R. Base 4000, Paradox প্যারাডক্স ইত্যাদি ডেটাবেস প্যাকেজে নিজস্ব ভাষায় প্রােগ্রাম লিখে কাজ করা যায় ।

ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS) এর কয়েকটি ব্যবহারিক ক্ষেত্র নিম্নরূপ:

  1. কম্পিউটারাইজড লাইব্রেরি সিস্টেম
  2. অটোমেটেড ট্রেলার মেশিন
  3. ফ্লাইট রিজারভেশন সিস্টেম ইত্যাদি।


ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সংগঠন (Organization of DBMS)

ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS) ব্যবহারকারী এবং ডেটাবেসের মধ্যে একটি ইন্টারফেস (উভয় দিক সংযােগ রক্ষাকারী) হিসেবে কাজ করে। ব্যবহারকারী DBMS কে বিভিন্ন অপারেশন (যেমন ডেটা মুছে ফেলা, প্রবেশ কিংবা আহরণ/উত্তোলন করা) সম্পন্ন করতে অনুরােধ করে। DBMS এর উপাদানগুলাে (যেমন সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, ডেটা, প্রক্রিয়া পদ্ধতি এবং ডেটাবেসের সাথে সংযােগ ভাষা) ব্যবহারকারী কর্তৃক প্রদত্ত অনুরােধগুলাে (ডেটা ইনসার্ট বা সন্নিবেশ করা, ডিলিট বা মুছে ফেলা, আপডেট বা আধুনিকীকরণ এবং রিট্রিভ বা উত্তোলন করা) ডেটাবেসের উপর কার্যকর করে ব্যবহারকারীকে প্রয়ােজনীয় ডেটা প্রদান করে। চিত্রে ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাধারণ সংগঠন দেখানাে হলাে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url