বারকোড এবং কিউআর কোড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

কিউ আর কোড (QR Code) নামটি আমরা শুনিনি এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাবে! কারন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্ষেত্রেই কিউআর কোড বা বার কোড এর ব্যাবহার দেখে থাকি। তবে আমরা এই QR কোড বা বার কোড ব্যাবহার করলে বা দেখে থাকলেও অনেকেই এ সম্পর্কে অনেক তথ্য-ই জানেন না! তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিউআর কোড বা বার কোড কি এর ইতিহাস, এই Qr কোড তৈরি করা হয় কিভাবে, কিউ আর কোড বা বার কোড রিডার এবং QR এবং বারকোড কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত।

কিউআর বা বারকোড কি - What is QR or bar code: কিউআর কোড এবং বারকোড মূলত এই জিনিস। বারকোড-কে আধুনিকায়ন করার মাধ্যমে  কিউআর কোড বা দ্বিমাত্রিক বারকোড তৈরি করা হয়েছে। কিউআর কোডের পূর্নরুপ হলো- কুইক রেসপন্স কোড ( Full meaning of QR code is Quick Response Code.)। তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহের ভিজুয়াল পদ্ধতিকে বার কোড বা কিউআর কোড বলা হয়। ( What is QR or bar code? The visual method of collecting data is called bar code or QR code.) এর মাধ্যমে যে কোন পন্য বা সেবার মান, মূল্য, কোম্পানি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সহ অনেক কিছু জানা সম্ভব।


বারকোড হচ্ছে সমান্তরাল কত গুলো বার বা দন্ড একের পর এক সাজিয়ে এই কোড বা সংকেত তৈরি করা হয় বলেই এর নাম দেওয়া হয় বার কোড। এবং সর্বপ্রথম জাপানে স্বয়ংচালিত শিল্পের জন্য পরিকল্পিত ম্যাট্রিক্স বারকোড টাইপের একটি ট্রেডমার্ক হচ্ছে কিউআর কোড (QR Code is the first trademark type of matrix barcode designed for the automotive industry in Japan.)


বারকোড বা কিউআর কোডের ইতিহাস- 

যুক্তরাষ্ট্রের ড্রেক্সেল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ছাত্র বারনার্ড সিলভার স্থানীয় খাদ্য শৃঙ্খলের প্রেসিডেন্টকে চ্যালেঞ্জ করার পর স্বয়ংক্রিয় পণ্য শনাক্ত করণের প্রক্রিয়ার উপর গবেষণা করার জন্য অনুমতি নেন ১৯৪৮ সালে। বারনার্ড সিলভার তার বন্ধু নরম্যান জোসেফকে এই গবেষণা সম্পর্কে জানান এবং তারা দুইজন এর বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। এর ফলশ্রুতিতে বার কোড আবিস্কার করেন নরম্যান জোসেফ এবং বারনার্ড সিলভার। এবং তাদের এই আবিস্কার সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রে পেটেন্ট করা হয় ১৯৫১ সালে। ১৯৬০ এর দশকের শেষের দিকে এই বারকোড ব্যাবহার শুরু হয়। তবে এটি সফল ভাবে ব্যাবহার শুরু হতে ২০ বছরের মত সময় লেগে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এটির ব্যাবহার আমরা সচারাচর দেখতে পাচ্ছি। এবং এর জনপ্রিয়তা সম্পর্কে বলার অপেক্ষা রাখে না।


এই বারকোড বা কিউআর কোড সাধারন ভাবে মানুষের পড়া সম্ভব নয়। এটি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হলে অবশ্যই সাহায্য নিতে হবে বার কোড রিডার বা QR কোড রিডার যন্ত্রের। এসকল কোড পড়ার জন্য আলাদা যন্ত্র রয়েছে এছাড়াও বর্তমানে স্মার্ট ফোন গুলোতে বারকোড বা কিউআর কোড রিডার এপ্লিকেশন রয়েছে। যার মাধ্যমে হাতের মোবাইল ফোনটির মাধ্যমে আপনি বারকোড বা কিউআর কোড পড়ার মত কাজ করতে পারবে। এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।


বারকোড কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়: বার কোড বা কিউআর কোড বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাবহার হয়। যেমন বিভিন্ন পন্য সামগ্রিতে সেই পন্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে এই বারকোড ব্যাবহার করা হয়। যেমন, উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তির্ন হওয়ার তারিখ, পন্যের গুনাগুন এবং মূল ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বারকোড বা কিউআর কোড ব্যাবহার করা হয়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url