করোনা ভাইরাসের লক্ষন এটি কি ও করোনার প্রতিকার

বিশ্ব জুরে এক আতংকের নাম নভেল করোনা। নিদুভাইরাস গোত্রের করোনাভাইরদা পরিবার ভুক্ত করোনাভাইরিনা উপগোত্রের একটি সংক্রমণ ভাইরাস প্রজাতি হলো এই করোনা ভাইরাস (Corona virus)। করোনা কোন ভাষার শব্দ থেকে এসেছে?  এটি মূলত ল্যাটিন করোনা শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ হলো মুকুট।এটি RNA ভাইরাস গোত্রের সর্ববৃহৎ ভাইরাস।এটি দেখতে অনেকটা মুকুটের মত।করোনা ভাইরাস গঠিত ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এবং উপরিভাগ প্রোটিন দ্বারা গঠিত। এই প্রোটিন আক্রান্ত টিস্যুকে নষ্ট করে দেয়।

করোনা ভাইরাস প্রথম আবিস্কার হয় ১৯৬০ এর দশকে। মুরগির ভিতরে প্রথম এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দেখা যায়। ব্রঙ্কাইটিস আক্রান্ত মুরগির ভিতর প্রথম সনাক্ত করা হয়। এর পরে হাচি কাশি আক্রান্ত মানুষের ভিতরেও এর সংক্রামণ দেখা যায়। তখন এর নাম দেওয়া হয় মনুষ্য করোনাভাইরাস ২২৯ ই এবং ওসি ৪৩। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের করোনা ভাইরাস রয়েছে।

এর মধ্যে নভেল করোনা ভাইরাস ২০১৯ সালের চিনের উহান শহরে সংক্রমণ হয়।এবং তা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। শুধু মাত্র চিনেই আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে তিন লাখের উপরে।এবং মৃতের সংখ্যা ৩ হাজারের উপরে ছাড়িয়েছে।এবং বর্তমানে এটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।কোরিয়া অবস্থান করছে দ্বিতীয়তে ।ইতালিতে  বর্তমান সময়ে প্রচুর পরিমাণ মানুষ সংক্রমণের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। এবং মৃত্যু হয়েছে প্রচুর মানুষের।এদিনে মৃতের সংখ্যা ৪৯ জন।যা সত্যি খুবই চিন্তার বিষয়। ভারতের ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। এবং বাংলাদেশে ৩ জন শনাক্ত করা হয়েছে।


করোনা ভাইরাসের কারনে মূলত ফুসফুস আক্রান্ত হয়।করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষন প্রকাশ পেতে ৫-৭ দিন।সময় নেয়। এটি ধির গতিতে সংক্রামিত হয় বলে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।এবং এখন পর্যন্ত এর প্রতীশোধক আবিষ্কার সম্ভব হয় নাই।যার ফলে বিশ্ব খুবই আতংকের মধ্যে রয়েছে।করোনা আক্রান্ত হলে কাশি,জ্বর,শ্বাস কস্ট,ফুসফুসের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া,কিডনি কার্যক্ষমতা হারানো সহ পক্ষপাত হতে পারে।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে যা করতে হবে -
★ সবসময় মুখে মাস্ক পড়তে হবে।
★সকল কাজের শেষে সাবান অথবা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে হবে।
★বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া যাবে না।
★অন্যের সাথে করমর্দন করা বা কোলাকুলি করা যাবে না।
★ জনসমাগম সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
★সাধারন জ্বর সর্দি হলেও ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।
★করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সেবা করার ক্ষেত্রে সচেতনতা গ্রহণ করতে হবে।


করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংকিত না হয়ে এবং বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে করোনায় সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি। কিন্তু মৃত্যু হার তার তুলনায় খুবই কম।এটি কোন মরন ব্যাধি নয়।তবে যারা শ্বাস কস্ট, এ্যাজমা সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রে মারাত্মক আকার ধারন করে এটি।এখন পর্যন্ত কোন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় নাই। তাই এর বিস্তার রোধ করতে পারলে এর হাত থেকে আমরা রক্ষা পাবো।

📂 করোনা ভাইরাসের নামে ম্যালওয়্যার ও ট্রোজান ছড়াচ্ছে হ্যাকার গ্রুপ! 
Next Post Previous Post
1 Comments
  • Sumi
    Sumi ১২ এপ্রিল, ২০২০ এ ১০:২৩ AM

    খুবই ভালো লাগলো পরে। এমন লেখা আরও পড়তে চাই।

Add Comment
comment url