ভাবসম্প্রসারন: “বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”

ভাবসম্প্রসারন: “বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে” 

মূলভাব : সৌন্দর্য সর্বত্র বিকশিত হয় না। প্রাকৃতিক নিয়মে যথা স্থানেই সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। সঠিক জিনিস সঠিক স্থানে না থাকলে তার সৌন্দর্য লুন্ঠিত হয়।

ভাবসম্প্রসারন লাইব্রেরি

ভাব-সম্প্রসারণ : যারা বনে স্থায়িভাবে বাস করে, তারা সভ্য জীবন যাপন করে না। শিক্ষার আলাে তারা কখনাে পায় না এবং আধুনিক জীবনযাত্রার সাথে পরিচিত হতে পারে না। তাই মার্জিত রুচি বােধের অভাবে তারা অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় থাকে। সভ্য সমাজের জীবনযাত্রার সাথে তাদের জীবনের কোনাে সাদৃশ্য নেই। তবু বনের পরিবেশে তাদের বেশ মানায়। কিন্তু তারা যদি বন ছেড়ে সভ্য মানুষের মধ্যে আসে তাহলে তাদেরকে খুবই কুৎসিত ও অসুন্দর বলে মনে হবে। পক্ষান্তরে মায়ের কোলই শিশুর উপযুক্ত স্থান। সেখানে থাকলে মা ও শিশু উভয়েরই অনাবিল হাসি ঝরে পড়ে। তাই শিশুকে খুব সুন্দর দেখায়। অন্য কোথাও তাদেরকে এত সুন্দর মানায় না। আমাদের এ পৃথিবীতে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির জন্য যে স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন সেখানে তাকে যেমন সুন্দর মানায়, অন্য কোথাও সে প্রাণীকে তেমন সুন্দর মানায় না।

কারণ পরিবেশের ওপরই কোনাে প্রাণীর সৌন্দর্য নির্ভর করে। উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে অনেক সুন্দর প্রাণীকেও অসুন্দর দেখায়। লতাপাতার মাঝখানে যে কোনাে ফুলকে খুবই সুন্দর দেখায়। কিন্তু তাকে ছিড়ে ঘরের মধ্যে নিয়ে নানাভাবে সাজিয়ে রাখলেও তার আগের সেই সৌন্দর্যকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। পৃথিবীর সব জীবজন্তু ও প্রাণীর জন্য একই নিয়ম প্রযােজ্য। তাই জ্ঞানীরা বলেছেন, “প্রাকৃতিক নিয়মে যে যেখানে আছে, সেখানেই সে সুন্দর-সেই পরিবেশেই তার সহজ সুন্দর রূপটি ফুটে ওঠে।

মন্তব্য: আপন পরিবেশই সৌন্দর্যের নিয়ামক। যার যে পরিবেশ তাকে সেই পরিবেশেই মানায়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url