কর্তব্যের কাছে ভাই-বন্ধু কেউ নেই ভাবসম্প্রসারন সকল শ্রেণির জন্য।

ভাবসম্প্রসারন: কর্তব্যের কাছে ভাই-বন্ধু কেউ নেই।

ভাবসম্প্রসারন কর্তব্যের কাছে ভাই-বন্ধু কেউ নেই

ভাবসম্প্রসারনঃ নিষ্ঠার সঙ্গে কর্তব্য পালন করা এ পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ বলে তার সঙ্গে কোনটিই তুলনীয় নয়। কর্তব্য পালনের মধ্যেই জীবনের সার্থকতা নির্ভর করে। সকল মানবিক সম্পর্ক ও স্বার্থের ওপরে কর্তব্যের স্থান। কাজই জীবন, কাজের মধ্যেই মানুষ বেঁচে থাকে। প্রত্যেক মানুষের থাকে বিশেষ পেশা। যেখানে তার নির্দিষ্ট দায়িত্ব কর্তব্য থাকে। এছাড়া পারিবারিক ও সামাজিক কর্তব্যও রয়েছে। রয়েছে রাষ্ট্রীয় কর্তব্য। এভাবে মানুষ নানা কর্মের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে থাকে। পৃথিবী এক বিশাল কর্মক্ষেত্র। এখানে কর্তব্যের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কর্তব্য পালন করতে গিয়ে মানুষকে নানাবিধ বাধা বিপত্তি ও ঝুকির সম্মুখীন হতে হয়। এতে আছে ব্যক্তিস্বার্থ, অনেক সময় অপরের স্বার্থের বিরুদ্ধে কর্তব্য করতে হয়। মানবিক সম্পর্কের স্বার্থ কর্তব্যের পথে বড় বাধা। কিন্তু কর্তব্য পালন করতে গিয়ে মানবিক স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না। বন্ধু বান্ধবের স্বার্থ যেমন বন্ধুকে দেখতে হয় তেমনি ভাইয়ের স্বার্থও দেখতে হয় ভাইকে। কিন্তু ভাই বন্ধুর স্বার্থকে বড় করে দেখে যদি কর্তব্য পালন বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে কর্তব্যপরায়ণ মানুষ সে স্বার্থকে উপেক্ষা করে কর্তব্য পালনের ওপরেই গুরুত্ব দেয়। বস্তুত সত্যনিষ্ঠ ন্যায়বান মানুষ কখনোই কর্তব্যকে বিসর্জন দেয় না। প্রকৃত কর্তব্য পালনের মধ্যেই মানবজীবনের সার্থকতা।

কর্তব্য পালন করতে গিয়ে আপনজনের স্বার্থ দেখতে গেলে তা আর কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না, তা হয়ে যায় স্বার্থপরতা। স্মরণ রাখতে হবে যে, কর্তব্যই সততা, কর্তব্যই ন্যায়পরায়ণতা, কর্তব্যই সার্থক জীবনের বৈশিষ্ট্য।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url