বিটকয়েন ওয়ালেট বা একাউন্ট কি? কতো প্রকার ও কি কি! - What Is Bitcoin Wallet

বিটকয়েন কী ( What Is bitcoin)? আমরা সকলে জানি বিটকয়েন হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা বা  ক্রিপ্টোকারেন্সি। বিটকয়েন এর দাম ক্রমান্বয়ে পরিবর্তনশীল। ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেন এর জন্য ব্যবহৃত হয় বিটকয়েন। এটির লেনদেন হয়ে থাকে সম্পুর্ন ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে। এবং এটি কোন সরকার কতৃক নিয়ন্ত্রিত মুদ্রা নয়। সাতোশি নাকামোতো নামক একজন বা একাধিক ব্যক্তি তৈরি করেছিলেন বিটকয়েন। তিনি ছিলেন জাপানের নাগরিক। আমাদের আজকের আলোচনার প্রধান বিষয় হলো বিটকয়েন ওয়ালেট কি কতো প্রকার ও কি কি এ সম্পর্কে!

বিটকয়েন ওয়ালেট কি

বিটকয়েন ওয়ালেট কি (What Is Bitcoin Wallet):

অর্থ লেনদেন এবং রাখার জন্য আমরা মানিব্যাগ ব্যাবহার করি যা ওয়ালেট নামে পরিচিত। ঠিক তেমনি বিটকয়েন লেনদেন এবং সংরক্ষণ করার জন্য সফটওয়্যার এবং ওয়েবসাইট একাউন্ট বা হার্ডওয়্যার ডিভাইস ব্যবহার করি তাকে বিটকয়েন ওয়ালেট বলে। এই বিটকয়েন ওয়ালেট (Bitcoin Wallet)- এর মাধ্যমে আপনি বিটকয়েন লেনদেন এবং সংরক্ষণ করতে পারবেন।


বিটকয়েন ওয়ালেট কত প্রকার এবং কি কি (How many types of bitcoin wallet)?

বিটকয়েন ওয়ালেট প্রধানত দুই প্রকার (There are two types of bitcoin wallets.)। এগুলো হলো- 

  1. সফটওয়্যার ওয়ালেট (Software Wallet)।
  2. হার্ডওয়্যার ওয়ালেট (Hardware Wallet)


১: সফটওয়্যার বিটকয়েন ওয়ালেট (Software Bitcoin Wallet):

বিটকয়েন লেনদেন এবং সংরক্ষণ এর জন্য মোবাইল এপ্লিকেশন এবং ওয়ের ভিত্তিক  বিটকয়েন ওয়ালেট রয়েছে। এখানে আপনি ব্যাংক বা অন্য উপায়ে বিটকয়েন ক্রয় বিক্রয় সহ সকল কাজ করতে পারবেন ইন্টারনেট এর মাধ্যমে।

বর্তমান সময়ে বহু বিটকয়েন ওয়ালেট রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজে বিটকয়েন লেনদেন এবং সংরক্ষণ করতে পারবেন। এছাড়াও হার্ডওয়্যার ওয়ালেট কিনতে যেমন আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে অপরদিকে সফটওয়্যার ওয়ালেট ব্যাবহারে আপনার কোন খরচ হবে না। এবং বর্তমান সময়ের সফটওয়্যার ভিত্তিক বিটকয়েন ওয়ালেট গুলো হ্যাক করে বিটকয়েন হাতিয়ে নেওয়া প্রায় অসম্ভব। কারন তারা প্রচুর পরিমান সিকিউরিটি প্রদান করে থাকে।

যে সকল সফটওয়্যার ভিত্তিক বিটকয়েন ওয়ালেট রয়েছে এগুলোর মাধ্যমে বিটকয়েন ছাড়াও অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করা সম্ভব।

বর্তমানে যতগুলো বিটকয়েন এবং মাল্টিকয়েন ওয়ালেট রয়েছে এগুলোর মধ্যে কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়ালেট  হচ্ছে-

আপনি মাত্র দুই মিনিটে চাইলে একটি বিটকয়েন সফটওয়্যার ওয়ালেট খুলতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কোন টাকা পয়সা কিছুই খরচ করতে হবে না।

☞মাত্র দুই মিনিটে একটি বিটকয়েন ওয়ালেট / কয়েনবেস ওয়ালেট খুলুন!


২: হার্ডওয়্যার বিটকয়েন ওয়ালেট (Hardware Bitcoin Wallet): 

বিটকয়েন রাখার জন্য দরকার হয় বিটকয়েন ওয়ালেট। এর মধ্যে একটি হচ্ছে হার্ডওয়্যার ওয়ালেট। এটি মুলত একটি ডিভাইস। বর্তমানে দুই ধরনের বিটকয়েন হার্ডওয়্যার ওয়ালেট রয়েছে এগুলো হলো -

১: লেজার ন্যানো এক্স (Ledger nano X)- এই লেজার ন্যানো এস একটি বিটকয়েন সিকিউরিটি কোম্পানির তৈরি। এই হার্ডওয়্যার ওয়ালেট একটি প্রচুর সিকিওর বিটকয়েন স্টোরেজ ডিভাইস। এবং বর্তমানে সব থেকে সুরক্ষিত ওয়ালেট হিসেবে পরিচিত। লেজার ন্যানো এস এর মুল্য ১২,৩০০ টাকা এবং ৬,৫০০ টাকায় দুইটি ডিভাইস পাওয়া যায়। যাদের বিটকয়েন হার্ডওয়্যার ওয়ালেট ক্রয় করতে চান তারা এই ঠিকানা হতে ক্রয় করতে পারেন। বা মূল্য দেখতে পারেন।

Ledger nano s

২:ট্রেজর (Trezor)-  ট্রেজর (Trezor)  হলো অন্যতম জনপ্রিয় একটি হার্ডওয়্যার ওয়ালেট। এটিও বর্তমানে বহুল জনপ্রিয় একটি বিটকয়েন ওয়ালেট। যারা বিটকয়েন এ ইনভেস্ট করতে চান তারা এই ট্রেজর বিটকয়েন হার্ডওয়্যার ওয়ালেট ব্যাবহার করতে পারেন।


তবে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বিটকয়েন ক্রয় বিক্রয় বা লেনদেন সম্পূর্ণ অবৈধ। এবং এটি সংরক্ষণের মাধ্যমে আপনি যেমন লাভবান হতে পারেন তেমনি এর মাধ্যমে আপনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীনও হতে পারেন। যেহেতু এটি স্থির কয়েন নয় তাই এর দামের পতন ঘটলে আপনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন অপরদিকে দাম বৃদ্ধি পেলে আপনি লাভবান হবেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url